বন্ধ্যাত্ব বলতে নিয়মিত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের পরেও গর্ভ সঞ্চারের অক্ষমতা বোঝায়। যদি আপনার বয়স 34-এর কম হয় এবং টানা এক বছর ধরে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পরেও গর্ভবতী না হতে পারেন, তা হলে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা শুরু করা উচিত। এ কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে মা হওয়ার আদর্শ বয়স সীমা হচ্ছে 23-30 বছর। তার পর ডিম্বাণুর মান পড়তে থাকে ক্রমশ। এই সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত যে বন্ধ্যাত্ব শুধু মহিলাদেরই নয়, পুরুষদেরও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
সুখের বিষয় হচ্ছে, বন্ধ্যাত্বের অত্যাধুনিক চিকিৎসা বেরিয়ে গিয়েছে এবং তা ব্যবহার করে খুব ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা করা হয়, প্রথমত জোর দেওয়া হয় জীবনযাত্রার পরিবর্তনে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, খাওয়াদাওয়া করতে হবে নির্দিষ্ট মাত্রায়। শারীরিক সুস্থতা নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলে সাধারণত গর্ভাধান সহজ হয়। যাঁরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন, তাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দেয় এবং তা থেকে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন খোলা হাওয়ায় খানিকটা সময় কাটানোর অভ্যেস করুন। এর কোনওটাতেই কাজ না হলে সাহায্য নেওয়া হয় ওষুধপত্র ও অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির।
সোসাইটি অফ অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকশন অনুসারে, ভারতে প্রায় 10 থেকে 14 শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের শিকার হন। শহুরে জনসংখ্যার মধ্যে পরিসংখ্যান বেশি, ছয় জনের মধ্যে একজন দম্পতি স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করতে অক্ষম। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব থেকে ভুগছেন এমন দম্পতিদের গর্ভধারণ করা সম্ভব করেছে। IVF: পরিপক্ক ডিমগুলি পুনরায় জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের আগে একটি পেট্রি-ডিশে পুনরুদ্ধার এবং নিষিক্ত করা হয়। এটিকে সবচেয়ে সফল অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ ট্রিটমেন্ট বা এআরটি পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কোনও সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রেও আইভিএফ ব্যবহার করা হয়। নারী বা পুরুষের বা দু’জনেরই সমস্যা থাকলে তো এই পদ্ধতি কাজে আসেই। পরামর্শের জন্য আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।